অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রহিম ম্যানশনের ছয়তলা ভবনটির সামনের সড়কটি নিয়মিতই কোমর থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।
ওই অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের নিয়মিত দৃশ্য এটি। কোনো সড়কে কোমর পানি, কোনোটিতে হাঁটু পানি ওঠে।
ওই এলাকায় কর্মরত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নেমে সিডিএ এলাকার ভ্যাট অফিসের সামনে এসে পানির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হচ্ছিল।
প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দুই সপ্তাহ আগে লাল রঙের নৌকাটি কেনার কথা স্বীকার করেন কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আহমেদ উল্লাহ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করদাতাদের আসা-যাওয়াসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এজন্যই নৌকাটি কেনা হয়েছে।”
কর কর্মকর্তারা জানান, দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায়২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেওয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান।
রোববারও আগ্রাবাদ এলাকায় টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
কর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ এলাকার জলাবদ্ধতা শুধু বৃষ্টির কারণে নয়, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও জোয়ারের পানিতে সড়ক ডুবে যায়।
চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অফিস পাড়া ও আবাসিক এ এলাকার জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চান তারা।
No comments:
Post a Comment